ঠিক যেন এশিয়া কাপের অ্যাকশন রিপ্লে! কলম্বোয় এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করেছিল, ওয়াংখেড়েতে রান তাড়া। পরিস্থিতি কার্যত এক। ভাগ্যিস শ্রীলঙ্কা দলে একজন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ছিলেন! তা না হলে ৩০ রানেও অলআউট হয়ে যেতে পারত শ্রীলঙ্কা। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। এ দিন দলের ভরাডুবি দেখলেন। উল্টোদিকে তিনি শুধুই দর্শকের ভূমিকায়। দলের ২৯ রানে আউট তিনিও। ২৫টি ডেলিভারি সামলান তিনি। ম্যাথুজের আউটে ভারতের জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা। শেষ অবধি ৫৫ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা। ৩০২ রানের বিশাল জয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত ভারতের।
এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম! পাওয়ার প্লে-তেই প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট নেয় ভারতীয় ক্রিকেট দল। মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরার পর আক্রমণে বিধ্বংসী সামি। তৃতীয় বলেই উইকেট তুলে নেন। মেডেন এবং জোড়া উইকেটে স্পেল শুরু করেন সামি। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের নজির ছিল জাভাগল শ্রীনাথ ও জাহির খানের। স্পেলের প্রথম তিন ওভারেই ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীনাথ, জাহিরকে ছুঁয়ে ফেলেন মহম্মদ সামি। দ্রুতই আরও একটা উইকেট নিয়ে ভারতীয়দের সর্বাধিক উইকেট শিকারি হলেন সামি।
টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে কিছুটা সমস্যায় পড়ে ভারত। তেমনই কিছু প্রত্যাশা করেছিল শ্রীলঙ্কা। যদিও শ্রীলঙ্কা শিবির হয়তো ভুলে গিয়েছিল ভারতীয় বোলিংয়ের কথা। ম্যাচের আগের দিন শ্রীলঙ্কার হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড বারবার বলেছেন, ভারতের মতো বোলিং আক্রমণ যে কোনও দলই চাইবে। তাঁর কথায় যেমন প্রশংসা ছিল, তেমনই আতঙ্কও। মাঠে নেমে সেই আতঙ্কই দেখা গেল শ্রীলঙ্কা ব্যাটারদের মধ্যে।
কয়েক সপ্তাহ আগে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৫০ রানেই অলআউট করেছিল ভারত। বিশ্বকাপের মঞ্চে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর বাংলাদেশের। ২০১১ বিশ্বকাপে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মাত্র ৫৮ রানেই অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। তারা মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে গেল। বিশ্বকাপের মঞ্চে এটিই রানের নিরিখে দ্বিতীয় সর্বাধিক জয়। এ বারের বিশ্বকাপে ৩০৯ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারত জিতল ৩০২ রানে।