সাময়িক স্বস্তিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।‘মোদি পদবি’ নিয়ে যে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, গত মাসে এক ফৌজদারি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছিল সোমবার সেই মামলাতেই জামিন দিল সুরাতের এক দায়রা আদালত। প্রসঙ্গত, সাজা ঘোষণার সময়ই রাহুলকে সেই সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অবিলম্বে তাঁর সাজা স্থগিত রেখে, তাঁকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছিল। যাতে তিনি উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন। এদিকে এদিন সুরাত দায়রা আদালত এই রায় দেওয়ার পাশাপাশি এও জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ এপ্রিল। অর্থাৎ, ওইদিন পর্যন্ত রাহুল গান্ধির জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন পাওয়ার পর, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি তাঁর আইনি লড়াইকে ‘মিত্রকাল’-এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই বলে উল্লেখ করেন এদিন। এই প্রসঙ্গে রাহুল জানান, ‘এটা ‘মিত্রকাল’-এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। এই সংগ্রামে সত্যই আমার অস্ত্র, সত্যই আমার সমর্থন।’
এদিকে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা রাহুলের তরফ থেকে এদিন আদালতে দুটি আবেদন করা হয়। প্রথম আবেদনে তাঁকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে তার ওপর স্থগিতাদেশ চান তিনি। এটি মূলত নিয়মিত জামিনের আবেদন। দ্বিতীয় আবেদনে, সাসপেনশন অফ কনভিকশন অর্থাৎ, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, যদি দ্বিতীয় আবেদনটি মেনে নেয় আদালত, সেই ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধি তাঁর লোকসভার আবেদন ফিরে পাবেন। এটাও উল্লেখ্য যে, গত ২৩ মার্চ সুরাতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তারপরই তাঁকে লোকসভার সাংসদ হিসাবে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সূত্রে খবর, এদিন রাহুল গান্ধির সঙ্গে সুরাত আদালতে উপস্থিত হন তাঁর বোন তথা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও। এছাড়াও, রাহুল গান্ধিকে নৈতিক সমর্থন জানাতে গুজরাতে আসেন কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল এবং সুখবিন্দর সিং সুখু। প্রিয়াঙ্কা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাহুল গান্ধির এই সুরাতে আসার ঘটনাকেও কটাক্ষ করতে দেখা য়ায় বিজেপির তরফ থেকে। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, বিচার বিভাগের উপর চাপ দেওয়ার জন্য এটা একটা ‘শিশুসুলভ প্রয়াস’।