মাঠে খুব গালাগালি দেন ধোনি, জানালেন ইশান্ত

মহেন্দ্র সিং ধোনির সাফল্যের রহস্য কী? তাঁর আসল শক্তি কোথায়? অধিকাংশ মানুষই বলবেন, চাপের মুখে ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’ থাকাই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রবল উত্তেজনা মুহূর্তেও চোখে মুখে বিরক্তি বা টেনশনের ছাপ না ফেলে বহু ম্যাচ উতরে দিয়েছেন। ক্রিকেটের মতো খেলায় নার্ভ ধরে রেখে, ঠান্ডা মাথায় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সহজ নয়। এই কাজে মাহির সমকক্ষ কেউ নেই। আশ্চর্যভাবে এমনটা মনে করেন না ধোনির একসময়ের সতীর্থ ইশান্ত শর্মা। দিল্লি পেসারের দাবি, ধোনি মোটেও Calm এবং Cool নন। বরং মাঠে প্রায়শই গালিগালাজ দিতেন। ইশান্ত বলেছেন, “ধোনির অনেক জায়গাতেই স্ট্রেন্থ আছে। কিন্তু সেগুলির মধ্যে মাথা ঠান্ডার বিষয়টি কোথাও নেই। ”কী বলেছেন ইশান্ত শর্মা? টিআরএস ক্লিপ ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের পেসার বলেছেন, “মাহি ভাইয়ের অনেক ক্ষেত্রেই শক্তি রয়েছে। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রাখা তার মধ্যে একটিও নয়। প্রায়শই মাঠে গালিগালাজ করেে। আমি বহুবার এর সাক্ষী থেকেছি।” অর্থাৎ সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের ধোনিকে নিয়ে যে ধারণা ইশান্ত ঠিক তার উল্টো কথা বলেছেন। মাঠে ধোনি উত্তেজিত হয়ে গালাগালি দেন, এটা সত্যি হলেও মাহি ভক্তরা কতটা বিশ্বাস করবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।উত্তেজিত হয়ে গালাগালি দিলেও মাঠে ধোনিকে রাগতে দেখা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না বলেই মনে করেন ইশান্ত। একটি টেস্ট ম্যাচের ঘটনাকে স্মরণ করে ইশান্ত জানিয়েছেন, বল থ্রো করার পর ঠিকঠাক কালেক্ট করতে না পারলে ধোনি রেগে যেতেন। তিনি বলেছেন, “আমি কখনও মাহি ভাইকে রাগতে দেখিনি। তবে যখন বল কালেক্ট করতে পারতাম না তখন বিষয়টি অন্যরকম হয়ে যেত। প্রথম বার বল ছোঁড়ার সময় আমি ওর মুখের ভঙ্গি দেখতাম। দ্বিতীয় বার আরও জোরে বল ছুঁড়ত। তৃতীয় বার গালি দিয়ে বলতেন, “আরে হাত লক্ষ্য করে জোরে থ্রো করো।” ইশান্ত আরও বলেছেন, “বোলিং শেষ করার পর ধোনি জিজ্ঞেস করতেন, ক্লান্ত হয়ে গিয়েছ? আমি হ্যাঁ বললে বলতেন, বেটা তুমি বুড়ো হচ্ছ। খেলা ছেড়ে দাও।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 4 =