পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা এসেছে শীর্ষ স্তর থেকে। কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোনওভাবেই লাগাম আলগা হতে দিতে রাজি নয় তৃণমূল শিবির। এদিকে ভাঙড় নিয়ে একটা অশান্তির পরিবেশ রয়েই যাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে , অন্তত এমনটাই ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কারণ, কিছুদিন আগেই তাই ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে দলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে। শওকতও ভাহড় প্রসঙ্গে জানান, কোনওরকম গোষ্ঠীকোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। সেই জন্য সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করার বার্তাও দেন সওকত। এদিকে ভাঙড়ের অপর তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ জানান, সম্প্রতি যে দলীয় বৈঠক হয়েছে, সেখানে দলের পর্যবেক্ষক হিসেবে কোনও দায়িত্ব সওকতকে দেওয়া হয়নি। তাঁর বক্তব্য, বৈঠকে অবজার্ভার বলে কোনও শব্দ ব্যবহার হয়নি। ভাঙড়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মাত্র। আর কাইজারের এই কথা থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, শওকতকে যে দায়িত্ব দেওযা হয়েছে তা ‘না-খুশ’ তিনি।
এমন এক পরিস্থিতিতে ভাঙড়ে কোন্দল মেটাতে নয়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূলের হাইকমান্ড। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার সওকত মোল্লা ও কাইজার আহমেদকে একসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এই নির্দেশ মেনেই জীবনতলায় যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সওকত মোল্লা ও কাইজার আহমেদ। এই যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে নজরে আসে, হাসি মুখে হাতে হাত ধরে পাশাপাশি বসে রয়েছেন সওকত ও কাইজার। দুই নেতাই বেশ খোশমেজাজে।
এদিকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ভাঙড় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।ফিরহাদ জানান, ‘সওকত মোল্লা দেখছেন ভাঙড়। সওকত দক্ষ সংগঠক। রেজাউল করিম, আরাবুল সবাইকে নিয়ে যদি উনি একসঙ্গে চলেন, তাহলে আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হবে। ভাঙড় আমাদের কাছে একটি দূর্গ। তৃণমূলকে একসঙ্গে থাকতে দেখতে, ভাঙড়ের সব মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসই করবে।’