কৃষিজমিতে জলের জোগান অব্যাহত রাখতে উদ্যোগী জলসেচ দফতর

নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ব্যাপক ঘাটতি হওয়া সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। তাই কৃষিজমিতে জলের জোগান অব্যাহত রাখতে রাজ্য সরকার জলসেচ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হল। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতর আগামী ২২ জুলাই বিশেষ বৈঠক ডেকেছে। দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলায় ভূগর্ভস্থ জলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। কৃষি দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে চাষীদের স্বার্থে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখা হবে। এ ব্যাপারে জেলা গুলির কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। জল সম্পদ মন্ত্রী আরও জানান, ‘রাজ্যের মোট সেচসেবিত জমির ৭৬ শতাংশে জল সরবরাহের দায়িত্ব তাঁর দফতরের। এক্ষেত্রে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৫৭ লক্ষ হেক্টর। বিভিন্ন বাঁধের জলাধার থেকে সেচখালের মাধ্যমে কিছু জমিতে জল পৌঁছে দেওয়া হয়। বর্তমান বৃষ্টি ঘাটতির পরিস্থিতিতে চাষিরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন তা নিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
১ জুন থেকে এ পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত কিছুটা বাড়লেও ধানচারা রোয়ার পরিস্থিতি অধিকাংশ জায়গায় এখনও হয়নি। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বর্ষাকালে আমন ধান চাষের জন্য কোনও কোনও জায়গায় সেচের জলের প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণ পরিস্থিতিতে পুকুর, জলাশয়, খাল প্রভৃতি জায়গায় সংরক্ষিত জল সেচের কাজে ব্যবহারে জোর দেয় জলসম্পদ দফতর। পরিবেশের স্বার্থে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মানসবাবু জানান, মুখমন্ত্রীর ‘জল ধরো জল ভরো’ নীতি মেনে রাজ্যেজুড়ে ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তৈরি করা হয়েছে ১৫০-র বেশি চেক ড্যাম। এতে সেচের সুযোগ অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু বৃষ্টি কম হওয়ায় সংরক্ষণযোগ্য জলের পরিমাণ কমে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ভূগর্ভস্থ জলের কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − two =