‘আমরা কোনও রং দেখি না। আমাদের কোনও রং নেই। দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেই কাজে আমাদের কোনও ভয় নেই। আমরা কারও থেকে কোনও সুযোগও নিই না।‘ বৃহস্পতিবার কুন্তল ঘোষের মামলার শুনানির সময় আদালতে এমনটাই জানানো হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে। এদিকে এই কুন্তলের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। দুই সংস্থা সূত্রেই খবর, কুন্তলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে এসেছে। এদিকে পাল্টা কুন্তলও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন ইডি, সিবিআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। তাঁকে চাপ দিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আদালতকে জানানোর পাশাপাশি হেস্টিংস থানায় অভিযোগপত্র পাঠান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে চাপ তৈরি করার অভিযোগ করেন তিনি। এই চিঠি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েটও দাখিল হয়। কোনও পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে গেলে, সেক্ষেত্রে মামলার শুনানি যাতে এক তরফা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই ক্যাভিয়েট দাখিল করেন মামলাকারীর পক্ষ।
এদিকে কুন্তলের জামিনের আর্জি জানানো হলেও এদিন ইডি-র তরফ থেকে কুন্তলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে বলে জানান ইডি-র আইনজীবী। তারই প্রেক্ষিতে শুনানির শেষ আদালত ১৯ জুন পর্যন্ত কুন্তল ঘোষকে জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।