হেলিকপ্টারের ট্রায়াল রানে বাধা! আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক

কপ্টারে তল্লাশি বিতর্কে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভপ্রকাশের পর এবার সাংবাদিক বৈঠকেও এই ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কপ্টারের ট্রায়াল রানে বাধা দেওয়ার আয়কর দপ্তরের অধিকার নেই বলেই দাবি তাঁর। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।সোমবার হলদিয়ায় সাংগঠনিক বৈঠকের পর কপ্টারে তল্লাশি বিতর্কে অভিষেক বলেন, “হেলিকপ্টারে তল্লাশি ও সিজার নিয়ে আমার কোনও অসুবিধা নেই। সেটা নির্বাচন কমিশন করতে পারে। আমার অসুবিধা হচ্ছে যখন আপনি কিছু পাননি তখন বলছেন আমি ট্রায়াল রানের অনুমতি দেব না, যতক্ষণ না উপর থেকে ক্লিয়ারেন্স আসবে। সে এক্তিয়ার ইনকাম ট্যাক্সের নেই। আইনি পদক্ষেপ নেব।”উল্লেখ্য, রবিবার ট্রায়াল রান চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার থামিয়ে তল্লাশি চালান আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডাও হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কপ্টারে কিছু পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, এনআইএ-র ডিজি ও এসপি-কে বদলের যে দাবি ছিল তৃণমূলের, তার পালটা হিসেবে তাঁর কপ্টার তল্লাশিতে কাজে লাগানো হয় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। এই ইস্যুতে ভোটমুখী বাংলায় উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। সোমবার কোচবিহারের নির্বাচনী সভা থেকে তা নিয়ে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।দলীয় প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে রাসমেলা ময়দানের সভা থেকে তাঁর কটাক্ষ, “অভিষেকের কপ্টারে কাল তল্লাশি চালিয়েছে। কপ্টারে নাকি সোনা, টাকা আছে। কী ভেবেছিল? কপ্টার থেকে সোনা পাবে? এসব আমরা করি না। বিমানে ওদের টাকাপয়সা আসে। ওখানে বিএসএফ, সিআইএসএফ আছে। কোনওদিন কোনও বিজেপি নেতার কপ্টারে তল্লাশি চালানোর সাহস হয়েছে তাদের?” মমতার পর অভিষেক আরও একবার কপ্টারে আয়কর তল্লাশি প্রসঙ্গে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সুর চড়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 6 =