ইন্ডিয়ান ওয়েলস: বিশ্বের তিন নম্বর টেনিস তারকা আলেকজান্ডার জেরেভকে নিয়ে টেনিস বিশ্বে চলছে রীতিমতো চর্চা। এ বার জেরেভ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন স্প্যানিস টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। মেক্সিকোর আকাপুলকোয় আয়োজিত মেক্সিকো ওপেনের ডাবসল ম্যাচ হারার পর চেয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন জেরেভ। যার জন্য তাঁকে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। ২১টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী রাফার মতে, টেনিস অফিসিয়ালজের হয়রানি করার জন্য যে কোনও প্লেয়ারের জন্যই কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন ছিল। তবে একইসঙ্গে নাদালের বক্তব্য, তাঁর বন্ধু এবং প্র্যাকটিস পার্টনার জেরেভকে শাস্তি কাটাতে দেখার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই।
মেক্সিকো ওপেনে হারার পর, জেরেভ বারবার চেয়ার আম্পায়ারের চেয়ারে ব়্যাকেট দিয়ে মারতে থাকেন। এই ঘটনার কারণে তাঁর ওপর আট সপ্তাহের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করার পাশাপাশি ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ওয়েলসে নামার আগে নাদাল জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও আচরণের জন্য আরও কঠিন শাস্তি আরোপ করা উচিৎ। তিনি বলেন, “এক দিক থেকে এই পুরো বিষয়টার সম্পর্কে আমার মতামত পেশ করাটা কঠিন। সাসচার (জেভেরেভ) সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে, এবং ওকে আমি পছন্দ করি। শুধু তাই নয় প্রায়ই ওর সঙ্গে আমি অনুশীলনও করি। আমি ওকে শুভ কামনা জানাতে চাই এবং ও নিজেও জানে ও যেটা করেছে সেটা ঠিক করেনি, সত্যি এটাই, ও অনেক আগেই বুঝতে পেরে গিয়েছে। আমার মতে এটা একটা ভালো দিক।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদেরই উচিৎ ঠিকঠাক উদাহরণ তৈরি করা, কারণ বাচ্চারা আমাদের দেখে। এক দিক থেকে আমি অবশ্যই ওকে শাস্তি পেতে দেখতে চাইব না, আবার অন্য দিক থেকে এই ধরনের আচরণের জন্য কিছু কঠিন পদক্ষেপ দেখতে চাই আমি, তবে সেটা শুধু ওর জন্য নয়। যে এমন ব্যবহার করবে তার জন্যই, কারণ এটা খেলাটাকে এবং রেফারিদের বাঁচাবে।”
অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর থেকে সময়টা একেবারেই ভালো কাটছে না জেরেভের। বিতর্ক একেবারেই পিছু ছাড়ছে না তাঁরা। অক্টোবরে জেরেভের বান্ধবী তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এটিপি। তার মাঝে এবার টেনিস কোর্টে বড় বিতর্ক বাঁধালেন জেরেভ। গত মরসুমে মেক্সিকোর এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জেরেভ। কিন্তু এবার আর খেতাব ধরে রাখার লড়াইও করতে পারবেন না তিনি। অন্য কেউ না, বর্তমান অবস্থার জন্য তিনি নিজেই দায়ী। যে আচরণ তিনি করেছেন সেটা একেবারেই খেলোয়াড় সুলভ নয়। সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের পছন্দ না হলে আরও অনেক উপায় আছে প্রতিবাদ জানানোর। কিন্তু তা বলে আম্পায়ারকে র্যাকেট হাতে মারতে যাবেন একজন তারকা খেলোয়াড়? ক্ষুব্ধ গোটা টেনিস মহল।