এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে কানাই মণ্ডল নামে এক জনৈকের। আর এখানেই ঘনিয়েছে রহস্য। নিয়োগ মামলায় যে চার্জশিট দিয়েছে ইডি তার ৩১ নম্বর পাতাতে এজেন্ট তালিকায় নাম রয়েছে এই কানাই মণ্ডলের। সঙ্গে এও লেখা কানাই মণ্ডল, এমএলএ, এমএসডি। অভিযোগ, কুন্তলের এজেন্ট ছিলেন এই কানাই মণ্ডল। ইডি কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে যে ১০৪ পাতার চার্জশিট দিয়েছে, তার ৩১ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে একটি রেজিস্ট্রার উদ্ধার হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন জেলার নিয়োগচক্রের বিভিন্ন এজেন্ট, তাঁদের মাধ্যমে জেলায় জেলায় কতজন নিয়োগ পেয়েছেন, কতজন টাকা পেয়েছেন সবটার উল্লেখ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এই তালিকার মধ্যেই কানাই মণ্ডলের নাম পাওয়া যায়।
গোল বেধেছে এখানেই। ঘটনাচক্রে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বিধায়কের নামও কানাই মণ্ডল। এই দুই কানাই একই ব্যক্তি কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল জানান, তিনি কুন্তলকে চেনেন না। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘কুন্তলকেও চিনি না। কুন্তলকে টিভিতে দেখি। চাকরির জন্য সুপারিশও নেই। ওনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগও নেই। সব মিথ্যা অভিযোগ। চক্রান্ত করছে এসব। ইডি, সিবিআই এরকম কিছু প্রমাণও করতে পারবে না। চাকরির সুপারিশ আমরা কাউকে করি না।’
এদিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তাপস মণ্ডল। এদিকে আবার ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটেও নাম ছিল তাপসের। একাধিকবার ইডি দফতরে হাজিরাও দিতে দেখা গেছে তাঁকে। সূত্রের খবর, সেই তাপস মণ্ডলের যে রেজিস্ট্রার পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই ইডি তাদের চার্জশিটে কানাই মণ্ডলের নাম উল্লেখ করেছে। তাপসের খাতায়ও এমএলএ এমএসডি উল্লেখ রয়েছে কানাই মণ্ডলের নামের সঙ্গে। সেখান থেকেই ইডি আধিকারিকদের অনুমান, এই কানাই কোনও বিধায়কই হবেন। ইডি সূত্রের খবর, প্রয়োজনে নবগ্রামের বিধায়কের সঙ্গে কথাও বলবেন তাঁরা। এরই পাশাপাশি জেল হেপাজতে থাকা তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারেন তদন্তকারীরা।